খেলাধূলা ও বিনোদনঃ
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে পাকিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়ার খেলায় এখানকার তরুনদের মধ্যেও টান টান উত্তেজনা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো ক্রিকেট খেলা তেমন একটা চালু হয়নি। আবার বিশ্বকাপ ফুটবলে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার খেলাকে ঘিরে এখানে যেমন বাক-বিতন্ডা হয়, তেমনি মাঠেও তরুনদেরকে ফুটবল নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। অপ্রশস্ত মাঠে যখন তুরুনেরা ফুটবল নিয়ে ব্যস্ত, তখন হয়তো বা মাঠের পাশেই গাছতলায় কিশোর-কিশোরীরা ডাংগুটি অথবা ছি-কুত্কুত্ খেলায় মেতে আছে। অর্থাৎ এখানে আধুনিক খেলাধূলা যেমন চলছে- তেমনি চলছে মান্ধাতা আমালের হরেক রকম খেলাও। এই এলাকায় সাধারণতঃ যেসব খেলা লক্ষ্য করা যায় সেগুলো হচ্ছেঃ হা-ডু-ডু, দাঁড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট, লুকোচুরি, কানামাছি, ছি-খেলা, মার্বেল, লাটিম, ঘুড়ি উড়ানো, গরু দৌড়, দড়ি ঘুরানো, রশিটানা, ছানাভাতি, কক্কু খেলা, লুডু, বাঘবন্দী, ছক্কা খেলা, ইচুন-বিচুন, পিঠ জ্বালান্তী, মাকড়সা, ছোয়াছুয়ি ইত্যাদি।
রায়পুরাবাসীর বিনোদনের মধ্যে যেমন আধুনিকতা আছে, তেমন প্রাচীন কালের সংস্কৃতিও আছে। রায়পুরাসী আধুনিক যুগের কনসার্ট যেমন উপভোগ করে, তেমনি আগরে দিনের বাউল গান, জারীগান, পূঁথির আসর, দোতারা গান, কবি গান, লোক গাথা, কিসসা, বৈশাখী মেলা, যাত্রা ও নাটক বিশেষভাবে উপভোগ করে থাকে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস